একুশের আশা- নিরাশা
– শচীদুলাল পাল
দু’হাজার বিশ অবসানে সুস্বাগতম একুশ,
মুক্ত হবে বিশ্ববাসী ছিন্ন করে অঙ্কুশ।
ভাইরাস বিষে দিনরাত ভয়ে কাঁপে দুরু দুরু,
বিশসাল শেষে সুস্থ শ্বাসে সুস্থ জীবন শুরু।
বিয়েবাড়ি গেট-টুগেদার খানাপিনা দেদার,
হিমালয়- কন্যাকুমারি চলো যাব আবার।
ওষ্ঠ দুটি লিপস্টিক হীনা মাক্সে ছিল ঢাকা,
মুক্তোদন্ত রক্তিম ওষ্ঠ এবার যাবে দেখা।
মোবাইলে লেখাপড়া দিদিমণি শেখায়,
ছাত্রছাত্রী দেখব আবার শ্রেণীকক্ষের কামরায়।
গঙ্গাতলে পাতালরেলে যাত্রী যাবে আসবে।
হাওড়াব্রীজে ভীড় মুক্তিতে সুস্থ শ্বাসে হাসবে।
ঘাসকমলে যুদ্ধ শেষে সিংহাসনে কারা?
তিলোত্তমা আমার হবে একুশেরই তোমরা।
ছাত্রছাত্রী মোবাইলে লেখাপড়ার ফলে,
শিখেছিল ইতিপূর্বে আর্ধেক যাচ্ছে ভুলে।
শিক্ষকদেরই স্কুল শিক্ষাদান সমতুল্য হয়কি ?
পরিযায়ী শ্রমিক বসে বেকার, উপায় আর কি?
কলকারখানা তালাবন্ধে শ্রমিক হলো বন্য,
মজদুর ফেরে দুয়ার দুয়ার দু’মুঠোরই জন্য।
আবর্তের ঘূর্ণাবর্তে মহাকালের ঝড়জল,
কেটে গেছে পাছে রেখে বিশসালেরই বিষজল।
বর্ষাবসান দু’হাজার বিশ তোমায় জানাই বিদায়।
অতীত ভুলে রাগ অভিমান শিকেই তুলে পাল্টাই।
ভালোবাসার আশার আশায় হৃদয় দুয়ার খুলে,
নবরূপে নবারুণে এসো একুশ কুলে।